মোঃ সেলিম রেজা,কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুর শহরের শাখা রোড গুলোতে যানজট লেগেই আছে। একই সঙ্গে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কে যানজট প্রতিনিয়ত ঘটছে।
গাড়ি এবং ভ্যান গাড়ি ,ইজি বাইক চালকদের উদাসীনতার জন্য রাস্তাগুলোতে যানজট লেগেই আছে। কেশবপুর শহরের গাজীর মোড় হতে হাসপাতালের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। যানজটের কারণে কখনো কখনো গাড়ির অতিরিক্ত হরণ বাজানোর শব্দে স্থানীয় লোকজন এবং দোকান দার গাড়ির উপর চড়াও হন।
হাসপাতাল রোডে অনেকগুলো ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবস্থিত। সেখানে রোগীর জন্য ভ্যানগাড়ি গুলো রাস্তার উপর রেখে দাঁড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একটা ইজিবাইক রাস্তার উপর রেখে দিয়ে যে যানজট সৃষ্টি করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায় ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা
নিজ উদ্যোগে ভ্যান এবং ইজিবাইক রাস্তার উপর রাখতে না দিলে , তাহলে হাসপাতাল রোডে যানজট হবে না কখনো। প্রশাসন এবং পৌরসভার কতৃপক্ষ মাঝে মাঝে যানজট মুক্ত করবার উদ্যোগ নিলে তা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বৃথা প্রমাণিত হয়। কেশবপুরের নিরাপদ সড়কের সভাপতি হারুনুর রশিদ বুলবুল উনার সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি এবং তাহার টিম নিজ উদ্যোগে প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসনের সহযোগিতায়। থানার মোড় ,গাজীর মোড় রাস্তার দুই পাশে গাড়ি, মোটরসাইকেল,ভ্যান রাখার ফলশ্রুতিতে মৃত্যু কূপে পরিণত হয়েছে যার ফলে দুর্ঘটনা ও ঘটেছে প্রতিনিয়ত। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌরসভা থেকে নিয়োজিত স্থানীয় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে পৌরসভার কিছু কর্মী যাহা সীমিত। কিন্তু লোক বল অভাবের কারণে তাদেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে যানজট।
যেখানে সমস্যা আছে সেখানে সমাধানের পথও আছে, আর এই সমাধানের পথ পৌরসভার কর্তৃপক্ষকেই খুঁজে বের করতে হবে স্থানীয় জনসাধারণের মন্তব্য।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।